
📰 পটভূমি: উত্তেজনার সূচনা
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত “অপারেশন সিন্ধুর” নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় ।
পাকিস্তান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার মধ্যে অমৃতসর অন্যতম। ভারত এই হামলাগুলো প্রতিহত করতে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ।
ভারত-পাকিস্তান: সামরিক পর্যায়ে আলোচনা ও যুদ্ধবিরতি
উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, ১১ মে ২০২৫ তারিখে ভারত-পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) পর্যায়ে হটলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় দুই পক্ষ সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয় ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সতর্ক করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে হটলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয় ।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে কী কী বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
🌙 সীমান্তে শান্তির প্রতিফলন
যুদ্ধবিরতির পর, ১১ মে রাতে জম্মু ও কাশ্মীরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। এটি সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে প্রথম শান্তিপূর্ণ রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয় ।
ভারত-পাকিস্তান: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
যদিও সাময়িক যুদ্ধবিরতি স্থাপন হয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি বজায় রাখতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
- বিশ্বাসের অভাব: দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস দীর্ঘদিনের।
- সন্ত্রাসবাদ: সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
- রাজনৈতিক সদিচ্ছা: দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য সদিচ্ছা প্রয়োজন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা ও তার পরবর্তী যুদ্ধবিরতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যদিও সাময়িক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।